খুলনায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ, অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে…
খুলনার দাকোপে সহপাঠীকে জিম্মি করে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নির্যাতিত ছাত্রীর অশ্লীল ছবি তুলে তার মুখবন্ধ করতে এবং চাঁদার দাবিতে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ঘটনার ১৪ দিন পর অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। দাকোপ থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। গত ১৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলা সদর চালনা পৌর এলাকার খলিষা গ্রামে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দাকোপ থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী বটিয়াঘাটা উপজেলার কায়েমখোলা গ্রামের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন। ঘটনার দিন বিকাল ৫টায় খলিষা গ্রামে কলেজছাত্রীর সহপাঠী মংলা উপজেলার শেলাবুনিয়া গ্রামের অমল রায়ের ছেলে অরূপ রায়ের (১৯) সঙ্গে দেখা করতে তার মেসে যায়।
এ সময় স্থানীয় চালনা গ্রামের কুমারেশ বিশ্বাসের ছেলে সৌম্য বিশ্বাস (২৭), তপন বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জু বিশ্বাস (২৩) ও পারচালনা গ্রামের মৃত রণজিত মণ্ডলের ছেলে অপরূপ মণ্ডল (২৩) তার পিছু নিয়ে অরূপের মেসে যায়। তারা ছাত্রী এবং তার সহপাঠী অরূপের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অপপ্রচার ছড়ানোর ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তারা অরূপকে ঘরের বাইরে আটকে রেখে প্রথমে অপরূপ মণ্ডল এবং পরে সঞ্জু বিশ্বাস ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা ভয় পেয়ে সহপাঠীদের উলঙ্গ করে একত্রে দুজনের ছবি তোলে। এরপর বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।
লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিতরা বিষয়টি চেপে যান। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ওই তিনজন প্রতিনিয়িত তাদের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের অব্যাহত হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রীটি সম্প্রতি বাড়িতে বিষয়টি তার মাকে জানান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নির্যাতিতার বাবা-মাসহ দাকোপ থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক অপরূপ এবং সঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আসামি করে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এদিকে গতকাল সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। ওদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নাগরিক সমাজের ব্যানারে গতকাল দুপুরে চালনা ডাকবাংলো মোড় এবং বৌমার গাছতলা এলাকায় পৃথক দুটি মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
SEE VIDEO
এ সময় স্থানীয় চালনা গ্রামের কুমারেশ বিশ্বাসের ছেলে সৌম্য বিশ্বাস (২৭), তপন বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জু বিশ্বাস (২৩) ও পারচালনা গ্রামের মৃত রণজিত মণ্ডলের ছেলে অপরূপ মণ্ডল (২৩) তার পিছু নিয়ে অরূপের মেসে যায়। তারা ছাত্রী এবং তার সহপাঠী অরূপের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অপপ্রচার ছড়ানোর ভয় দেখায়। একপর্যায়ে তারা অরূপকে ঘরের বাইরে আটকে রেখে প্রথমে অপরূপ মণ্ডল এবং পরে সঞ্জু বিশ্বাস ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা ভয় পেয়ে সহপাঠীদের উলঙ্গ করে একত্রে দুজনের ছবি তোলে। এরপর বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।
লোকলজ্জার ভয়ে নির্যাতিতরা বিষয়টি চেপে যান। কিন্তু ঘটনার পর থেকে ওই তিনজন প্রতিনিয়িত তাদের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের অব্যাহত হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্রীটি সম্প্রতি বাড়িতে বিষয়টি তার মাকে জানান। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নির্যাতিতার বাবা-মাসহ দাকোপ থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ধর্ষক অপরূপ এবং সঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আসামি করে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এদিকে গতকাল সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। ওদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নাগরিক সমাজের ব্যানারে গতকাল দুপুরে চালনা ডাকবাংলো মোড় এবং বৌমার গাছতলা এলাকায় পৃথক দুটি মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।
SEE VIDEO
0 comments:
Post a Comment