বিশ্বব্যাপী যে কারণে আলোচিত এই 'পাকিস্তানি' পর্ন তারকা নাদিয়া!
বিশ্বব্যাপী যে কারণে আলোচিত এই 'পাকিস্তানি' পর্ন তারকা নাদিয়া!
মুখ
ঢেকে
রাখেন
হিজাবে। এই
নাদিয়া
আলি
মাত্র
এক
বছরেই
দস্তুরমতো হেলায়
শাসন
করছেন
পর্ন
দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
ছবিতে
মধ্যপ্রাচ্যের এক
গৃহবধূকে দিনের
পর
দিন
স্বামীর যৌন
অত্যাচার সহ্য
করার
বিস্তারিত দৃশ্য
তুলে
ধরা
হয়েছে।
আসলে
গল্পের
মোড়কে
নিখাদ
পর্নোগ্রাফি। গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয়
করেছেন
পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসি
পর্নস্টার নাদিয়া
আলি।
মাত্র
এক
বছরেই
পর্ন
ছবির
বাজারে
সাড়া
ফেলে
দিয়েছেন ছাব্বিশের তরুণী।
খ্যাতি
ও
জনপ্রিয়তার সঙ্গে
সঙ্গেই
অবশ্য
দেখা
দিয়েছে
মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে
শরীর
উন্মোচন করলেও
বিষযটি
পেশা
হিসেবেই দেখতে
চান
নাদিয়া। সেই
সঙ্গে,
নগ্নতার মাধ্যমে ছোট
থেকে
দেখে
আসা
পুরুষশাসিত পাক
সমাজের
ভন্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকেই হাতিয়ার হিসেবে
তুলে
ধরতে
চান
তিনি।
ছবির
খোলামেলা দৃশ্যে
সচেতন
ভাবেই
নিজেরল
মুখ
ঢেকে
রাখেন
হিজাবে। তাঁর
যুক্তি,
'ছোট
থেকেই
শুনে
এসেছি,
অমুক
মেয়েটি
বেশ্যা। ওর
মুখ
আড়াল
করা
স্কার্ফ দেখে
ভুলো
না।
ধর্মের
দোহাই
দিয়ে
শশা
বা
কলা
স্পর্শ
করার
ওপরও
নিষেধাজ্ঞা জারি
আছে
আমার
দেশে।
ওই
ফলগুলির যেহেতু
পুরুষাঙ্গের সঙ্গে
আকারগত
সাদৃশ্য রয়েছে,
তাই
মেয়েরা
তা
ছুঁলে
শাস্তি
বাঁধা।
এই
সমস্ত
কথা
আমার
মনে
গেঁথে
আছে।
হিজাব
পরা
কোনও
মহিলা
যদি
কাম
তাড়িত
হয়ে
পড়েন,
তাহলে
তাঁর
শরীরী
ভাষা
কেমন
হবে?
এই
সমস্ত
দৃশ্যই
আমি
ক্যামেরার সামনে
নির্দ্বিধায় তুলে
ধরি।
আর
তাতেই
গোঁড়ারা ক্ষেপে
আগুন,
কারণ
তারা
মেয়েদের ভোগ
করলেও
তাদের
অনুভূতির মর্যাদা দিতে
শেখেনি।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
তবে
পর্নস্টারের পেশা
বেছে
নেওয়ার
ফলে
চিরকালের জন্য
দেশে
ফেরার
রাস্তা
বন্ধ
হয়ে
গেছে
নাদিয়ার। পাকিস্তানে তাঁর
প্রবেশ
নিষিদ্ধ। সে
দেশে
বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা পেশার কারণে তাঁর
সঙ্গে
সম্পর্ক ছেঁটে
ফেলেননি বলে
নাদিয়ার দাবি।
যদিও
এই
পেশায়
না
এলেই
ঠিক
করতেন
বলে
অনেকের
অভিমত।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। এই নাদিয়া আলি মাত্র এক বছরেই দস্তুরমতো হেলায় শাসন করছেন পর্ন দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpufমুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। এই নাদিয়া আলি মাত্র এক বছরেই দস্তুরমতো হেলায় শাসন করছেন পর্ন দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন। - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpufমুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। এই নাদিয়া আলি মাত্র এক বছরেই দস্তুরমতো হেলায় শাসন করছেন পর্ন দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'।
ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে
নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন
দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন। - See
more at:
http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpuf
মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। এই নাদিয়া আলি মাত্র এক বছরেই দস্তুরমতো হেলায় শাসন করছেন পর্ন দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
ছবিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন স্বামীর যৌন অত্যাচার সহ্য করার বিস্তারিত দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। আসলে গল্পের মোড়কে নিখাদ পর্নোগ্রাফি। গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসি পর্নস্টার নাদিয়া আলি। মাত্র এক বছরেই পর্ন ছবির বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ছাব্বিশের তরুণী। খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য দেখা দিয়েছে মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে শরীর উন্মোচন করলেও বিষযটি পেশা হিসেবেই দেখতে চান নাদিয়া। সেই সঙ্গে, নগ্নতার মাধ্যমে ছোট থেকে দেখে আসা পুরুষশাসিত পাক সমাজের ভন্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকেই হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি। ছবির খোলামেলা দৃশ্যে সচেতন ভাবেই নিজেরল মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। তাঁর যুক্তি, 'ছোট থেকেই শুনে এসেছি, অমুক মেয়েটি বেশ্যা। ওর মুখ আড়াল করা স্কার্ফ দেখে ভুলো না। ধর্মের দোহাই দিয়ে শশা বা কলা স্পর্শ করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে আমার দেশে। ওই ফলগুলির যেহেতু পুরুষাঙ্গের সঙ্গে আকারগত সাদৃশ্য রয়েছে, তাই মেয়েরা তা ছুঁলে শাস্তি বাঁধা। এই সমস্ত কথা আমার মনে গেঁথে আছে। হিজাব পরা কোনও মহিলা যদি কাম তাড়িত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁর শরীরী ভাষা কেমন হবে? এই সমস্ত দৃশ্যই আমি ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় তুলে ধরি। আর তাতেই গোঁড়ারা ক্ষেপে আগুন, কারণ তারা মেয়েদের ভোগ করলেও তাদের অনুভূতির মর্যাদা দিতে শেখেনি।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
তবে পর্নস্টারের পেশা বেছে নেওয়ার ফলে চিরকালের জন্য দেশে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে নাদিয়ার। পাকিস্তানে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে দেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা পেশার কারণে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেননি বলে নাদিয়ার দাবি। যদিও এই পেশায় না এলেই ঠিক করতেন বলে অনেকের অভিমত।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpuf
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
ছবিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন স্বামীর যৌন অত্যাচার সহ্য করার বিস্তারিত দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। আসলে গল্পের মোড়কে নিখাদ পর্নোগ্রাফি। গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসি পর্নস্টার নাদিয়া আলি। মাত্র এক বছরেই পর্ন ছবির বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ছাব্বিশের তরুণী। খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য দেখা দিয়েছে মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে শরীর উন্মোচন করলেও বিষযটি পেশা হিসেবেই দেখতে চান নাদিয়া। সেই সঙ্গে, নগ্নতার মাধ্যমে ছোট থেকে দেখে আসা পুরুষশাসিত পাক সমাজের ভন্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকেই হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি। ছবির খোলামেলা দৃশ্যে সচেতন ভাবেই নিজেরল মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। তাঁর যুক্তি, 'ছোট থেকেই শুনে এসেছি, অমুক মেয়েটি বেশ্যা। ওর মুখ আড়াল করা স্কার্ফ দেখে ভুলো না। ধর্মের দোহাই দিয়ে শশা বা কলা স্পর্শ করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে আমার দেশে। ওই ফলগুলির যেহেতু পুরুষাঙ্গের সঙ্গে আকারগত সাদৃশ্য রয়েছে, তাই মেয়েরা তা ছুঁলে শাস্তি বাঁধা। এই সমস্ত কথা আমার মনে গেঁথে আছে। হিজাব পরা কোনও মহিলা যদি কাম তাড়িত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁর শরীরী ভাষা কেমন হবে? এই সমস্ত দৃশ্যই আমি ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় তুলে ধরি। আর তাতেই গোঁড়ারা ক্ষেপে আগুন, কারণ তারা মেয়েদের ভোগ করলেও তাদের অনুভূতির মর্যাদা দিতে শেখেনি।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
তবে পর্নস্টারের পেশা বেছে নেওয়ার ফলে চিরকালের জন্য দেশে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে নাদিয়ার। পাকিস্তানে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে দেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা পেশার কারণে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেননি বলে নাদিয়ার দাবি। যদিও এই পেশায় না এলেই ঠিক করতেন বলে অনেকের অভিমত।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpuf
মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। এই নাদিয়া আলি মাত্র এক বছরেই দস্তুরমতো হেলায় শাসন করছেন পর্ন দুনিয়া।
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
ছবিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন স্বামীর যৌন অত্যাচার সহ্য করার বিস্তারিত দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। আসলে গল্পের মোড়কে নিখাদ পর্নোগ্রাফি। গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসি পর্নস্টার নাদিয়া আলি। মাত্র এক বছরেই পর্ন ছবির বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ছাব্বিশের তরুণী। খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য দেখা দিয়েছে মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে শরীর উন্মোচন করলেও বিষযটি পেশা হিসেবেই দেখতে চান নাদিয়া। সেই সঙ্গে, নগ্নতার মাধ্যমে ছোট থেকে দেখে আসা পুরুষশাসিত পাক সমাজের ভন্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকেই হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি। ছবির খোলামেলা দৃশ্যে সচেতন ভাবেই নিজেরল মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। তাঁর যুক্তি, 'ছোট থেকেই শুনে এসেছি, অমুক মেয়েটি বেশ্যা। ওর মুখ আড়াল করা স্কার্ফ দেখে ভুলো না। ধর্মের দোহাই দিয়ে শশা বা কলা স্পর্শ করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে আমার দেশে। ওই ফলগুলির যেহেতু পুরুষাঙ্গের সঙ্গে আকারগত সাদৃশ্য রয়েছে, তাই মেয়েরা তা ছুঁলে শাস্তি বাঁধা। এই সমস্ত কথা আমার মনে গেঁথে আছে। হিজাব পরা কোনও মহিলা যদি কাম তাড়িত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁর শরীরী ভাষা কেমন হবে? এই সমস্ত দৃশ্যই আমি ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় তুলে ধরি। আর তাতেই গোঁড়ারা ক্ষেপে আগুন, কারণ তারা মেয়েদের ভোগ করলেও তাদের অনুভূতির মর্যাদা দিতে শেখেনি।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
তবে পর্নস্টারের পেশা বেছে নেওয়ার ফলে চিরকালের জন্য দেশে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে নাদিয়ার। পাকিস্তানে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে দেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা পেশার কারণে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেননি বলে নাদিয়ার দাবি। যদিও এই পেশায় না এলেই ঠিক করতেন বলে অনেকের অভিমত।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpuf
পর্ন বিশ্বে সম্প্রতি সাড়া ফেলেছে 'ওয়েলকাম টু উওমেন অফ দ্য মিডল ইস্ট'। ছবির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে, 'এদের দেখে অত্যাচারিত মনে হলেও সুযোগ পেলে নিজেদের বন্য অনবদমিত স্বাভাবিক যৌনতার বিস্ফোরণ ঘটাতে সিদ্ধহস্ত। হয়তো এমন দৃশ্য হয়তো দেখা যেত বিন লাদেনের হারেমে, এবার নিজের চোখেই দেখুন।'
ছবিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক গৃহবধূকে দিনের পর দিন স্বামীর যৌন অত্যাচার সহ্য করার বিস্তারিত দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। আসলে গল্পের মোড়কে নিখাদ পর্নোগ্রাফি। গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকা নিবাসি পর্নস্টার নাদিয়া আলি। মাত্র এক বছরেই পর্ন ছবির বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ছাব্বিশের তরুণী। খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য দেখা দিয়েছে মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকি।
প্রাপ্তবয়স্কদের ছবিতে শরীর উন্মোচন করলেও বিষযটি পেশা হিসেবেই দেখতে চান নাদিয়া। সেই সঙ্গে, নগ্নতার মাধ্যমে ছোট থেকে দেখে আসা পুরুষশাসিত পাক সমাজের ভন্ডামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিকেই হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে চান তিনি। ছবির খোলামেলা দৃশ্যে সচেতন ভাবেই নিজেরল মুখ ঢেকে রাখেন হিজাবে। তাঁর যুক্তি, 'ছোট থেকেই শুনে এসেছি, অমুক মেয়েটি বেশ্যা। ওর মুখ আড়াল করা স্কার্ফ দেখে ভুলো না। ধর্মের দোহাই দিয়ে শশা বা কলা স্পর্শ করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে আমার দেশে। ওই ফলগুলির যেহেতু পুরুষাঙ্গের সঙ্গে আকারগত সাদৃশ্য রয়েছে, তাই মেয়েরা তা ছুঁলে শাস্তি বাঁধা। এই সমস্ত কথা আমার মনে গেঁথে আছে। হিজাব পরা কোনও মহিলা যদি কাম তাড়িত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁর শরীরী ভাষা কেমন হবে? এই সমস্ত দৃশ্যই আমি ক্যামেরার সামনে নির্দ্বিধায় তুলে ধরি। আর তাতেই গোঁড়ারা ক্ষেপে আগুন, কারণ তারা মেয়েদের ভোগ করলেও তাদের অনুভূতির মর্যাদা দিতে শেখেনি।'
ধর্মের সঙ্গে অবশ্য নাদিয়ার কোনও বিরোধ নেই। নিজেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দিনে অন্তত দুই বার নমাজ পড়েন। আমেরিকায় তাঁর বাবা-মা নিয়মিত প্রার্থনা ও উপাসনায় ব্যস্ত থাকেন বলে জানিয়েছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে গোঁড়া মুসলিম পরিবারে। তবে সেই বোনের বিবাহিত জীবন চোখে আঙুল দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যীয় সমাজে পুরুষের দ্বিচারিতা প্রমাণ করেছে বলে তাঁর দাবি। সখেদে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'সারা জীবন ধর্মীয় রীতি মেনে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সেবা করে গিয়েছে বোন। কিন্তু তার বদলে তার স্বামী একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু প্রতিবাদ করলে জুটেছে গালিগালাজ, মারধোর।'
তবে পর্নস্টারের পেশা বেছে নেওয়ার ফলে চিরকালের জন্য দেশে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে নাদিয়ার। পাকিস্তানে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ। সে দেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা পেশার কারণে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেঁটে ফেলেননি বলে নাদিয়ার দাবি। যদিও এই পেশায় না এলেই ঠিক করতেন বলে অনেকের অভিমত।
পর্ন ছবিতে অভিনয় করার সময় কেন হিজাব ব্যবহার করেন? উত্তরে নাদিয়া জানিয়েছেন, 'বাদামি চোখের তারা, খয়েরি চুল নিয়ে সহজেই কোনও খ্রিস্টান ছদ্মনামের আড়ালে অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার সাংস্কৃতিক শিকড় উপড়ে ফেলতে চাই না। আমি সেই দেশের ভাষা বলি, সেই দেশের স্বপ্ন দেখি, সেই দেশের খাবার খেতে পছন্দ করি। আসলে পাকিস্তানের মেয়ে হয়ে পর্ন ছবির নায়িকা, এই ব্যাপারে মানুষের অপরিসীম আগ্রহ। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ থাকে। আমি সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি।'
কিন্তু এই কারণে তাঁর প্রাণ সংশয় ঘটতে পারে, সে কথাও বিলক্ষণ জানেন নাদিয়া। ২০১৫ সালে ঠিক এই কারণেই হুমকি পেয়েছিলেন লেবানিজ-আমেরিকান পর্নস্টার মিয়া খলিফা। পাক সুন্দরী জানিয়েছেন, মৃত্যু পরোয়ানাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো। তাতে জীবন উপভোগ করা যায় না। তাঁর মতে, হুমকিবাজদের ফতোয়ায় আমল না দিয়ে, পারলে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেই আখেরে লাভ। একই কারণে স্বদেশে ফেরার কোনও আগ্রহ নেই নাদিয়া আলির।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2016/02/25/329161#sthash.aPZUQoyt.tLnK56XZ.dpuf
0 comments:
Post a Comment